আলোচ্য বিষয়ের সারসংক্ষেপ
আল-কুরআনের সূরা আনকাবুতের ৪৫ নং আয়াতের মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, সালাতের উদ্দেশ্য হলো মানুষের ব্যক্তি ও সমাজ থেকে অশ্লীল ও নিষিদ্ধ কাজ দূর করা। কিন্তু এটি পরিস্কার যে বর্তমান মুসলিম সমাজে সালাতের এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এর প্রধানতম কারণ হলো বর্তমান কালের মুসলিমদের ‘আকিমুস্ সালাত’ কথাটির সঠিক অর্থ বুঝতে না পারা।
বর্তমান বিশ্বের প্রায় সকল মুসলিম বিশ্বাস করেন যে, ‘আকিমুস্ সালাত’ কথাটির অর্থ হলো- সালাতের অনুষ্ঠানটি নিয়ম-কানুন (আরকান আহকাম) মেনে নিজে সঠিকভাবে ও নিষ্ঠার সাথে আদায় করা এবং সমাজের সকলে যেন সালাতের অনুষ্ঠানটি সুন্দর ও সহজভাবে আদায় করতে পারে তার ব্যবস্থা করা।
কিন্তু সূরা বাকারা/২ : ১৪৩, মায়েদা/৫ : ০৬, বাকারা/০২ : ১৭৭, জুম’য়া/৬২ : ০৯, মাউন/১০৭ : ৪-৬ ইত্যাদি, অনেক সহীহ হাদীস এবং Common sense-এর আলোকে নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে,‘আকিমুস্ সালাত’ কথাটির অর্থ হলো-সালাতের অনুষ্ঠান নিয়ম-কানুন (আরকান আহকাম) মেনে নিষ্ঠার সাথে আদায় করা এবং প্রতিটি অনুষ্ঠান থেকে দিতে চাওয়া শিক্ষা মনে-প্রাণে গ্রহণ করা এবং সে শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠা করা।
লেখক পরিচিতি
প্রফেসর ডাঃ মোঃ মতিয়ার রহমান ১৯৫২ সালে বাংলাদেশের খুলনা জেলার ডুমুরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন মাদ্রাসায়। অতঃপর তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা নেন ডুমুরিয়া হাই স্কুল এবং সরকারী বি, এল কলেজ, দৌলতপুর, খুলনা থেকে। তিনি ১৯৭৭ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে MBBS ডিগ্রী লাভ করেন। ২য় এবং ফাইনাল প্রফেশনাল MBBS পরীক্ষায় তিনি ঢাকা বিশ্যবিদ্যালয়ে যথাক্রমে ৬ষ্ঠ এবং ১০ম স্হান অধিকার করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি রয়েল কলেজ অব ফিজিশায়নস্ এন্ড সার্জনস্, গ্লাসগো, ইউ, কে থেকে FRCS ডিগ্রী লাভ করেন।
তিনি কুরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন, ঢাকা, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান। ইসলামিক রিসার্চ ও দাওয়া এখন তার অগ্রাধিকার পাওয়া কাজ। আজ পর্যন্ত তিনি ইসলামের ৩৩ টি মৌলিক বিষয়ের উপর তার গবেষণা, পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করেছেন। তার গবেষণালব্ধ বিষয়সমূহ এবং বর্তমান মুসলিম জাতির জ্ঞান ও আমলের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। তিনি নিয়মিতভাবে তার গবেষণালব্ধ বিষয় নিয়ে টেলিভিশন ও রেডিওতে আলোচনা রাখেন।
বর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের প্রধান এবং ল্যাপারোসকোপ যন্ত্রের দ্বারা পিত্ত থলির পাথর অপারেশনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী অভিজ্ঞ সার্জন।তিনি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি বা পরিচালক।