আলোচ্য বিষয়ের সারসংক্ষেপ
প্রচলিত ধারণা হলো, একজন মু’মিন ব্যক্তি যদি পরকালে জাহান্নামে যায় তবে সে চিরকাল সেখানে থাকবে না। গুনাহর সমপরিমাণ সময় জাহান্নামে থাকার পর মুক্তি পেয়ে সে অনন্তকালের জন্য জান্নাত পেয়ে যাবে। এ ধারণার মূল উৎস হলো কিছু সহীহ হাদীস।
কিন্তু আল-কুরআনের সূরা নিসা/৪ : ৯২ ও ৯৩, বাকারা/২ : ২৭৫, বাকারা/২ : ৮০ ও ৮১, সোয়াদ/৩৯ : ১৯ ও ২০, নিসা/৪ : ৩১, নিসা/৪ : ১৭ ও ১৮ ইত্যাদি, বেশকিছু সহীহ হাদীস এবং Common senseএ-র আলোকে নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে- যে সকল মু’মিন তাদের করা কবীরা গুনাহ (বড় গুনাহ), মৃত্যুর পূর্বে তাওবার মাধ্যমে মাফ করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের চিরকাল দোযখে থাকতে হবে।
লেখক পরিচিতি
প্রফেসর ডাঃ মোঃ মতিয়ার রহমান ১৯৫২ সালে বাংলাদেশের খুলনা জেলার ডুমুরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন মাদ্রাসায়। অতঃপর তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা নেন ডুমুরিয়া হাই স্কুল এবং সরকারী বি, এল কলেজ, দৌলতপুর, খুলনা থেকে। তিনি ১৯৭৭ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে MBBS ডিগ্রী লাভ করেন। ২য় এবং ফাইনাল প্রফেশনাল MBBS পরীক্ষায় তিনি ঢাকা বিশ্যবিদ্যালয়ে যথাক্রমে ৬ষ্ঠ এবং ১০ম স্হান অধিকার করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি রয়েল কলেজ অব ফিজিশায়নস্ এন্ড সার্জনস্, গ্লাসগো, ইউ, কে থেকে FRCS ডিগ্রী লাভ করেন।
তিনি কুরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন, ঢাকা, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান। ইসলামিক রিসার্চ ও দাওয়া এখন তার অগ্রাধিকার পাওয়া কাজ। আজ পর্যন্ত তিনি ইসলামের ৩৩ টি মৌলিক বিষয়ের উপর তার গবেষণা, পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করেছেন। তার গবেষণালব্ধ বিষয়সমূহ এবং বর্তমান মুসলিম জাতির জ্ঞান ও আমলের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। তিনি নিয়মিতভাবে তার গবেষণালব্ধ বিষয় নিয়ে টেলিভিশন ও রেডিওতে আলোচনা রাখেন।
বর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের প্রধান এবং ল্যাপারোসকোপ যন্ত্রের দ্বারা পিত্ত থলির পাথর অপারেশনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী অভিজ্ঞ সার্জন।তিনি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি বা পরিচালক।