আলোচ্য বিষয়ের সারসংক্ষেপ
পড়ার সুর দুই ধরণের- গানের সুর ও আবৃত্তির সুর। একই ভঙ্গিতে সুর করে পড়াকে গানের সুরে পড়া এবং যেখানে যে ভাব আছে সেখানে সে ভাব প্রকাশ করে পড়াকে আবৃত্তির সুরে পড়া বলে। যে গ্রন্থে বিভিন্ন ভাব প্রকাশকারী বক্তব্য আছে সে গ্রন্থ আবৃত্তির সুরে পড়তে হবে, এটি সহজ বোধগম্য একটি কথা। আর এর কারণ হলো, আবৃত্তি তথা যথাযথ ভাব প্রকাশ না করলে অর্থ পাল্টে যায় এবং ঐ বিষয়ে মনের ভাবের যথাযথ পরিবর্তন হয় না। আল-কুরআনে বিভিন্ন ভাব (প্রশ্ন, আদেশ, ধমক, প্রার্থণা ইত্যাদি) প্রকাশক আয়াত আছে। তাই, সহজেই বলা যায় যে, কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে আবৃত্তির সুরে। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে প্রায় সকল মুসলিম কুরআন পড়েন গানের সুরে। এটি সঠিক হচ্ছে কি না তা এক বিরাট প্রশ্ন। কুরআন, হাদীস ও Common sense এর তথ্যের আলোকে এ বিষয়টি পুস্তিকাটিতে পর্যালোচনা করা হয়েছে। আর সে পর্যালোচনায় যে তথ্য চুড়ান্তভাবে বের হয়ে এসেছে তা হলো- কুরআনকে পড়তে হবে যেখানে যে ভাব আছে সেখানে সে ভাব প্রকাশ করে তথা আবৃত্তির সুরে।
লেখক পরিচিতি
প্রফেসর ডাঃ মোঃ মতিয়ার রহমান ১৯৫২ সালে বাংলাদেশের খুলনা জেলার ডুমুরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন মাদ্রাসায়। অতঃপর তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা নেন ডুমুরিয়া হাই স্কুল এবং সরকারী বি, এল কলেজ, দৌলতপুর, খুলনা থেকে। তিনি ১৯৭৭ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে MBBS ডিগ্রী লাভ করেন। ২য় এবং ফাইনাল প্রফেশনাল MBBS পরীক্ষায় তিনি ঢাকা বিশ্যবিদ্যালয়ে যথাক্রমে ৬ষ্ঠ এবং ১০ম স্হান অধিকার করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি রয়েল কলেজ অব ফিজিশায়নস্ এন্ড সার্জনস্, গ্লাসগো, ইউ, কে থেকে FRCS ডিগ্রী লাভ করেন।
তিনি কুরআন রিসার্চ ফাউন্ডেশন, ঢাকা, বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান। ইসলামিক রিসার্চ ও দাওয়া এখন তার অগ্রাধিকার পাওয়া কাজ। আজ পর্যন্ত তিনি ইসলামের ৩৩ টি মৌলিক বিষয়ের উপর তার গবেষণা, পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করেছেন। তার গবেষণালব্ধ বিষয়সমূহ এবং বর্তমান মুসলিম জাতির জ্ঞান ও আমলের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। তিনি নিয়মিতভাবে তার গবেষণালব্ধ বিষয় নিয়ে টেলিভিশন ও রেডিওতে আলোচনা রাখেন।
বর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের প্রধান এবং ল্যাপারোসকোপ যন্ত্রের দ্বারা পিত্ত থলির পাথর অপারেশনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী অভিজ্ঞ সার্জন।তিনি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, সভাপতি বা পরিচালক।